প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়রা জানায়, একটি বন্য হাতি খাদ্যের সন্ধানে পাহাড় থেকে নেমে স্থানীয়দের বসতির দিকে যাওয়ার পথেই খন্ডাখাঁড়া গ্রামে টানা বিদ্যুৎ লাইনের তারে জড়িয়ে হাতির শুঁড় আটকে যায়। তৎক্ষণাৎ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় হাতিটি। পরে তার শব্দে এলাকাবাসীর ঘুম ভেঙে যায়। এরপর ওই হাতিকে দেখতে শত শত নারী-পুরুষ ঘটনাস্থলে ভিড় জমায়।
টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, উখিয়া-টেকনাফে অধ্যুষিত বিপুল পরিমাণ রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাসের কারণে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে পাহাড়ের সবুজ অরণ্য। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য। যার কারণে দেখা দেয় পাহাড়ি জীবজন্তুর খাদ্য সংকট। এমন অবস্থায় খাদ্যের সন্ধানে পাহাড়ি থেকে নেমে আসা হাতিটি বৈদ্যুতিক তারে স্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়।
তিনি আরো বলেন, এই হাতিটি মারা যাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে পল্লী বিদ্যুতের গাফিলতি। তারা বৈদ্যুতিক খুঁটি কম দেয়ার কারণে তারগুলো ঝুলে ছিল। যাতে হাতিটি আটকা পড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। পরে বিষয়টি বনবিভাগকে অবহিত করা হয়।
হাতিটির ময়নাতদন্ত শেষে হাতির দাঁতগুলো সংরক্ষণের প্রাণী সম্পদ বিভাগ লোকজন নিয়ে যায়। এরপর গর্ত করে হাতিটিকে পুঁতে ফেলা হয়।
0 coment rios: