১৬ এপ্রিল ২০২০ এক ভিডিও বার্তায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ফিভার ক্লিনিকের প্রধান জানিয়েছিলেন করোনা পরীক্ষা করতে এসে সঠিক ঠিকানা দিচ্ছেন না অনেকেই। এক্ষেত্রে এনআইডি নম্বর বাধ্যতামূলক করতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। সেই কথা শোনেনি কেউ, তার মাশুল গুনতে হচ্ছে দেড় মাস পরে।
রোববার (১৪ জুন) ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৭ ও দক্ষিণের ২৭টি ও চট্টগ্রামের ১১ টি এলাকা রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে মোটা দাগে এলাকার নাম নির্দেশ করলেও এলাকাভিত্তিক অর্থাৎ মিরপুর কত নম্বর, কিংবা উত্তরের কোন কোন সেক্টর তা সুনির্দিষ্ট করতে পারেনি অধিদপ্তর।
আইইডিসিআর বলছে, জোনভিত্তিক লকডাউন বাস্তবায়ন করতে এসে সামনে এসেছে নানা অসংগতি। ভুল কিংবা আংশিক ঠিকানা, মোবাইল নম্বরে গোঁজামিলসহ নানা বিড়ম্বনায় তারা। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, সঠিক ঠিকানা পেতে আবারো যোগযোগ করা হচ্ছে আক্রান্তদের সঙ্গে। তাই বিলম্ব হচ্ছে ছক কষতে।
অধ্যাপক মিরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, অনেকে মনে করেন, মিরপুরের ঠিকানা দিয়েছেন, তবে জানাননি মিরপুরের কত নম্বরে। এটা জানার জন্য আমাদের কিছুটা সময় লাগছে।
জনস্বাস্থ্যের ভাষায় এধরনের তথ্যকে প্যাসিভ ডাটা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে অ্যাকটিভ ডাটা বা অধিদপ্তরের নিজস্ব ডাটা ছাড়া এই জোন পদ্ধতি বিজ্ঞানভিত্তিক হবে না।
অধ্যাপক ডা. রিদওয়ানউর রহমান বলেন, সত্যিকার অর্থে লকডাউনকে ইফেকটিভ করতে হলে একটিভ ডাটার ওপর ভিত্তি করে এগোতে হবে।
রেড জোনের তালিকা প্রকাশ করা হলেও গ্রিন কিংবা ইয়োলো জোনের কোন তথ্য দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
0 coment rios: