মেট্রো রেল স্থাপনের আরো দুটি প্রকল্পর জন্য আগামী অর্থবছরে
বরাদ্দ থাকছে। এ দুটি প্রকল্পের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ঢাকায বসবাসরত
মানুষের দুর্ভোগ কমাতে ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় উড়াল
ও পাতালসহ ছয়টি মেট্রোরেল রুট নির্মাণ করা হবে।
উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত নির্মাণাধীন মেট্রো রুট-৬ এর চলমান কাজের শতকরা
৪৫ ভাগ শেষ হয়েছে।
সম্পতি কাজের গতি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে এ রুটে ১০
কিলোমিটার ভায়াডাক্ট এবং ১ কিলোমিটার রেল লাইন স্থাপন করা হয়েছে।। আগামী অর্থবছরে নির্মাণ কাজ শুরু হবে আরো
দুটির। আজ আপনাদের কাছে তুলে ধরছি এমআরটি
লাইন ৫ এর বিস্তারিত।
গত ১০ জুন ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে হেমায়েতপুর থেকে
ভাটারা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল রুটের বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন ও
নির্মাণকাজ তদারকির জন্য পরামর্শক নিয়োগের চুক্তি স্বাক্ষর করা হয় । এই অনুষ্ঠানে
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি ও ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে
যুক্ত হন।
এমআরটি লাইন ৫ এর রুট হবে দুইটি। একটি হলো এমআরটি লাইন ৫ নর্দান রুট যা হেমায়েত
পুর থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে ভাটারায়। এটি
উড়াল পাতাল সমন্বয়ে নির্মাণ করা হবে। ২০
কিলোমিটার দৈর্ঘের এই মেট্রো রেলের মাটির নিচ দিয়ে হবে ১৩.৫০ কিলোমিটার এবং মাটির
উপরে এমআরটি লাইন ৬ এর মতো হবে ৬.৫০ কিলোমিটার।
মোট স্টেশন হবে ১৪ টি যার ৯ টি হবে মাটির নিচে অর্থাৎ পাতালে এবং ৫ টি হবে উড়াল মানে মাটির
উপরে।
এমআরটি লাইন ৫ নর্দার্ন অংশের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।
এমআরটি ৫ নর্দান রুটটি নির্মাণে প্রায় ৪১ হাজার ২৩৯ কোটি কোটি টাকা ব্যয় হবে । এরমধ্যে জাপান
সরকারের অর্থায়ন করবে প্রায় ২৯ হাজার কোটি
টাকা। এই প্রকল্পটি ২০২৮ সালে শেষ হবার কথা রয়েছে।
0 coment rios: