মঙ্গলবার, ২৬ মে, ২০২০

করোনা ঝুঁকিতেও চলছে রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ

করোনা ভাইরাসের বৈশ্বিক ঝুঁকির মধ্যেও পুরোদমে চলছে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প রূপপুরের নির্মাণকাজ।


কর্তৃপক্ষ বলছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই প্রায় ৮ হাজার শ্রমিক সেখানে কর্মরত রয়েছেন। এ বছরের ডিসেম্বর নাগাদ প্রথম ইউনিটের রি-অ্যাক্টর বা চুল্লি স্থাপনের লক্ষ্য পূরণ সম্ভব বলেও দাবি নীতিনির্ধারকদের।

তবে নির্মাণকাজে না পেছালেও প্রশিক্ষিত জনবল তৈরির ক্ষেত্রে সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

কভিড-১৯ এর আতঙ্কে যখন স্থবির পৃথিবীর বেশিরভাগ কর্মযজ্ঞ, তখন দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে এভাবেই স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে চালানো হচ্ছে প্ল্যান্টের নির্মাণ কাজ।


মহামারির অচলাবস্থার মধ্যেও প্রয়োজনীয় নির্মাণ সামগ্রীসহ বিদেশ থেকে আমদানি করা যন্ত্রাংশ প্রতিনিয়ত নিয়ে আসা হচ্ছে পাবনার রূপপুরে। জানানো হয় এরই মধ্যে রাশিয়ায় প্রস্তুত হয়েছে প্রথম ইউনিটের রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল। যদিও, ঝুঁকি এড়িয়ে করোনা পরিস্থিতিতে কাজ চলমান রাখার বিষয়ে আগেই জানিয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ব পরমাণু সংস্থা রোসাটম।

দেশি-বিদেশি প্রায় ৮ হাজার শ্রমিকের প্রত্যক্ষ কর্মতৎপরতায় প্রথম রিঅ্যাক্টর ভবনের ৩৪ মিটার পর্যন্ত নির্মাণ বেশ এগিয়েছে। ব্যয় বাড়ার শঙ্কায় কাজ স্থগিতের কোনো সুযোগ নেই বলে দাবি সরকারের সংশ্লিষ্টদের।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, 'সময় একটা বড় ব্যাপার। সময়ে শেষ করতে না পারলে আমরা লসে পড়ে যাব। আমাদের অনেক মেশিন চলে আসছে। সেগুলোকে বন্দর থেকে ছাড়ানো, আবার নদী পথে টেনে আনা। আসলে আমরা একটি কঠিন সিচুয়েশনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।'


নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. শোকত আকবর বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে প্রথম ইউনিটের রি-অ্যাক্টর বা চুল্লি স্থাপন করা। আমরা সেভাবেই এগোচ্ছি। দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ চলমান আছে।'

নির্মাণে পিছিয়ে না গেলেও, বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় প্ল্যান্টের কমিশনিং পর্যায়ে কাজ করা কর্মীদের প্রশিক্ষণ আটকে গেছে বলে জানিয়েছেন নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. শোকত আকবর এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

খাতা-কলমে স্বপ্নের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ এগিয়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। বিপুল অঙ্কের আর্থিক ঋণে নির্মিতব্য দেশের বৃহৎ এই প্রকল্পটি ২০২৩ সাল নাগাদ চালু করার বিষয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ ও রাশিয়ার প্রকৌশলীরা।



শেয়ার করুন

Author:

উন্নত বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত একটি অনলাইন পত্রিকা.

0 coment rios: